
এবছরের মধ্যেই দেশে ফোর চালুর কথা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই সেবার উদ্বোধনকালে এ কথা জানান তিনি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, পেপ্যাল চালুর মধ্যদিয়ে দেশের তরুণদের মেধা, নতুন নতুন চিন্তাধারা ও সৃজনশীল মনোভাব দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এসময় তিনি মহৎ এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার ইন্টারনেট ডাটার মূল্য ৯৯ শতাংশ কমিয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ডাটার মূল্য আরো সুলভ করা হবে।
এসময় দ্রুতই ইউনিয়ন পর্যায়েও ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিয় যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এসময় দেশে উন্নত ও উচ্চগতি সম্পন্ন ফোরজি সেবা চলতি বছরেই চালুর ঘোষণা দেন সজীব ওয়াজেদ।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের দাবি পেপ্যালকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন ধরে পেপ্যালের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তা সম্পন্ন হলো। দেশে বসে বিদেশে কাজ করে উপার্জিত অর্থ দেশে আনার জনপ্রিয় পদ্ধতি পেপ্যাল বাংলাদেশে চালু করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিনের। অবশেষে তার সফল বাস্তবায়ন ঘটলো।
প্রাথমিকভাবে পেপ্যাল দিয়ে ইনবাউন্ড সেবা তথা শুধু টাকা আনা যাবে। সোনালী, রূপালী, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ ৯টি ব্যাংক থেকে এই টাকা উত্তোলন করা যাবে। বাংলাদেশে পেপ্যালকে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে ২০১১ সাল থেকে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দেশে পেপ্যাল নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়।
২০১২ সালে এসে এটি বাস্তবায়নের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করতে থাকেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সে বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হচ্ছে বলে ঘোষণাও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ তা আর চালু হয়নি। বর্তমানে বিশ্বের ২০৩টি দেশে পেপ্যাল সেবা চালু আছে। এর মধ্যে মাত্র ২৯টি দেশে পেপ্যালের পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু আছে এবং ১০৩টি দেশে শুধু ইনবাউন্ড সেবা চালু রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ১৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এ সেবার সুবিধা উপভোগ করছেন। ২৬টি মুদ্রায় এ প্রতিষ্ঠানটি লেনদেন পরিচালনা করে।