
১০ বছর আগে পুলিশ যেমন ছিল, এখনকার পুলিশ তেমন নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এখনকার পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইডিইবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৭’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগ।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশের যে দুই একটি ব্যর্থতা নেই তা বলা যাবে না। তবুও আমরা যে পথে হাঁটছি, নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনের পথেই যাচ্ছি। অবশ্যই আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাব।
বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের সেই আস্থা অর্জন করতে পেরেছে উল্লেখ করে কামাল বলেন, আগে বিভিন্ন এলাকায় কর্তাব্যক্তিরা যে কাজ করতেন, এখন কমিউনিটি পুলিশ ধারাবাহিকভাবে সেই কাজ করে যাচ্ছে। তারা পাড়ায়-মহল্লায় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ছোট-খাট ঝামেলা বা মতবিরোধ মীমাংসা করে দিচ্ছে। তারা জনগণের সহযোগিতায় জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক দমনে সাফল্য অর্জন করে দেশের মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরো বলেন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সুরক্ষার বিকল্প নাই, আমরা সে কাজটিই করে যাচ্ছি। জনগণকে যতো কাছে নিতে পারব, আমরা ততোই সফল হব। জননিরাপত্তা বিধানে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এ সময় জনগণকেও স্বতঃস্ফুর্তভাবে পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দুই দফায় ইতিমধ্যে ৮০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পুলিশকে অনেক সুবিধা দিতে পারেননি বলেও স্বীকারোক্তি তার। এ বছর যথেষ্ট পরিমাণ গাড়ি ডিএমপির জন্য কেনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। পুলিশের অন্য সমস্যাগুলো দূর করার জন্য কাজ চলছে বলে জানান।
সভায় আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং হলো জনগণের কাছে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশের জবাবদিহি করা। দেশের জনগণের সঙ্গে থানা-পুলিশের দূরত্ব কমলেই কমিউনিটি পুলিশিং সফল হবে। এতে জনগণের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। নাগরিক দায়িত্ব জাগিয়ে তোলা ও সংগঠিত করাই এর লক্ষ্য। পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে ভয় দূর হবে।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ঈমাম, রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।