জাতিসংঘ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে যে শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেইনের যুদ্ধপীড়িত এলাকার ৪০ লাখ জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য-সহায়তা জরুরি হয়ে পড়বে।
জাতিসংঘের হিসেবে অনুযায়ী ৪ বছর ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ ১০,০০০ সাধারণ নাগরিকের জীবন কেঁড়ে নিয়েছে এবং আহত হয়েছেন ২৩,৫০০ জনের মতো। কিয়েভ সরকার ও পূর্ব্বাঞ্চলে রুশ-সমর্থিত যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াইয়ে কোনো সমাধান এখনো চোখে পড়েনি। I
তাই যুদ্ধপীড়িত এলাকায় জনগণের দূর্দশা বাড়ছে, যা আসন্ন শীতে তীব্রতর হয়ে চরম মানবিক সঙ্কটে রূপ নেবে।
ইউক্রেইন নিয়ে চাপের মুখে রাশিয়া
যুদ্ধ বিক্ষুব্ধ ইউক্রেইনে রাশিয়ার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন পশ্চিমা নেতারা।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিভেন হারপার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশে বলেন, তার (পুতিনের) ‘ইউক্রেইন থেকে বেরিয়ে যাওয়া’ উচিৎ।
ইউক্রেইনে মস্কোর ‘আগ্রাসন’ ‘বিশ্বের জন্য হুমকি’ বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্রও।
এদিকে রাশিয়া যদি তার প্রতিবেশী ইউক্রেইনের বিষয়ে ‘অযথা হস্তক্ষেপ’ বন্ধ না করে তবে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহী ও সরকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
ইউক্রেইন সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের অভিযোগ, বিদ্রোহীদের সাহায্য করার জন্য রাশিয়া ইউক্রেইনে তাদের সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে। যদিও রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
যুক্তরাজ্য বলছে- যদি রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেইনে অনুপ্রবেশ চলতেই থাকে তবে ইউরোপ ও রাশিয়ার সম্পর্ক বেশ জটিলতার মধ্যে পড়ে যাবে।
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না অনেকে।