
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আলোচিত উরুতে জোড়া লাগানো শিশু তোফা-তহুরা বাড়িতে ফেরার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও গত কাল বুধবার পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ, গাইবান্ধা হাসপাতাল, এমনকি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোন প্রকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাদের বাড়িতে যায়নি।
তোফা-তহুরার মা শাহিদা বেগম জানান, যদিও তারা ভাল আছেন তারপরও ডাক্তারদের দেখতে আসার কথা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বড় আপা বলেছেন সুন্দরগঞ্জের ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম তোফা-তহুরাকে দেখতে যাবে। কারণ শিশু দুইটি জন্মানোর সময় ওই ডাক্তার তাদের দেখভাল করেছেন। তবে ডাক্তার আশরাফুল বর্তমানে সুন্দরগঞ্জে নেই। ইউএনও এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান,বিশে^র মধ্যে সাড়া জাগানো ঘটনা এটি। স্থানীয় চিকিৎসকদের দেখতে যাওয়া উচিত ছিল । এসময় তাদের পরামর্শ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার ইয়াকুব আলী মোড়লের সাথে কয়েক দফায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডাক্তার আমির আলির সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান তোফা-তহুরাকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করার কোন নির্দেশনা সরকারি ভাবে নেই। তবে তোফা-তহুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তত্ত্বাবধান করেছিলেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে বলেছেন শিশু ২টির কোন সমস্যা হলে খবর পাওয়া মাত্রই যাতে সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। ইতোমধ্যে তাদের বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে তারা রামজীবন ইউনিয়নের কাশদহ গ্রামের নানা শহিদুল ইসলামের বাড়ীতে অবস্থান করছেন।