
দেশে যথাসময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এদেশে অবশ্যই যথাসময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা সেটা এনশিওর করবো। ইলেকশন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। এটা নিয়ে অহেতুক পানি ঘোলার চেষ্টা বা সংবিধান লঙ্ঘন করে অন্যকিছু চিন্তা-ভাবনার সময় ও সুযোগ আর বাংলাদেশে নেই।’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। আমরা এটা হতে দেবো না। বিএনপি যখন ভোট নিয়ে নানারকম অভিযোগ তোলে, আর ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের কথা বলে, শুনে হাসি পায়। এসব কথা বলার আগে তাদের আয়নায় নিজেদের চেহারাটা দেখা উচিত। এদেশের নির্বাচন নিয়ে যেসব ঘটনাগুলো অতীতে ঘটেছে- নির্বাচনকে কিভাবে প্রভাবিত করা, নির্বাচনের নামে প্রহসন করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, এটা তো শুরুই করেছে বিএনপি।’
পঁচাত্তরের পর জেনারেল জিয়া অবৈধভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে‘হ্যা‘ ‘না‘ ভোট করেন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন ‘না‘ এর বাক্স পাওয়া যায়নি। শুধু ‘হ্যা‘ এর বাক্সই ছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নামে প্রহসন করলেন। যেখানে ১০০ ভাগের ওপরে ভোট পাইলেন। কাজেই ভোট দেওয়ার অধিকার তো নষ্ট করে গেছে জিয়াউর রহমান। অবৈধ উপায়ে (ক্ষমতা) দখলকারী দলের হাতে তৈরি একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি। ক্ষমতায় বসে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে এই দলটি করা হয়েছিল।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়- তারা ভুলে গেছে ৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনে তারা আগেই ঠিক করে রেখেছিল আওয়ামী লীগকে ৪০টির বেশি সিট দেবে না। বাকি সিট তারা নিয়ে নেবে। আর সেই ঘটনাই সেই সময় ঘটেছিল। বুথ দখল করা, সিল মারা, বাক্স ভরা-এটাই ছিল তাদের নির্বাচন।’