
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ভূয়া ডিজিএফআই’র ক্যাপ্টেন পরিচয়ে স্কুলের পক্ষে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা চাদা দাবী। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জানা গেছে, রংপুর সার্কেল-৪ এর ব্যাচ নং-৪৫৪৬১৮, মিজানুর রহমান (৩৮) নিজেকে ডিজিএফআই’র ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা-জটিলতা আছে মর্মে পক্ষে রিপোর্ট দেয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষকের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাদা দাবী করে। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষকদের নিকটও সে টাকা দাবী করে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে গতকাল বুধবার বিকেলে ভূয়া ডিজিএফআই এর ক্যাপ্টেন তার দাবীকৃত টাকা নেওয়ার জন্য সদরের নিজাম উদ্দিন মার্কেটের দোতলায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের নিকট এসে যোগাযোগ করে।
একপর্যায়ে তার কথাবার্তা ও গতিবিধি সন্দেহজনক হলে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। থানা পুলিশ ভূয়া ডিজিএফআই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নাম মো. আহসান হাবিব মাসুদ (৩৮) পিতা-মোঃ সেকেন্দও আলী, ইউনিয়ন-১০ নং শানের হাট, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা-রংপুর বলে জানায়। আটক আহসান হাবিব মাসুদ আরো জানায়, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আঃ রহমান বিদ্যালয়ের সমস্ত কাগজপত্র ফটোকপি ফাইলিং করে তাকে এভাবে তদন্তাভার দিয়েছেন বলে জানায়।
আরো জানা যায়, উক্ত জিডিএফআই পরিচয়ধারী আহসান হাবিব মাসুদ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে একই ধরণের কর্মকান্ড করায় নির্বাহী অফিসার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে বরিশাল দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ-উজ-জামান সরকার বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের (নং-০৫) করেন। আটককৃত ভূয়া ডিজিএফআই সদস্যকে গাইবান্ধা কোট হাজতে প্রেরণ করা হয়ছে।