
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ। ৩০৫ রানে বাংলাদেশ দল অল আউট হবার পর ৬৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান সংগ্রহ করেছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ৮৮ এবং হ্যান্ডসকম ৬৯ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন। মুস্তাফিজ এবং তাইজুল ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে দ্বিতীয় দিন সকালটা বাংলাদেশ দলের জন্য শুরু হয়েছিল বড় কিছুর স্বপ্ন নিয়েই। প্রথম দিন শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৩ রান তোলা বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল সংগ্রহটাকে অনেক দূর টেনে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু সেই লক্ষ্যের পথে প্রথম আঘাত হয়ে আসে মুশফিকুর রহিমের উইকেটটি। আগের দিনের সংগ্রহের সঙ্গে মাত্র ১২ রান যোগ করেই নাথান লায়নের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে নাসির হোসেনের সঙ্গে তার জুটিটা ছিল ৪৩ রানের। লায়নের নিচু হয়ে যাওয়া বলটি সামনে পা বাড়িয়ে ঠেকালেও ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বলটি ভেঙে দেয় তার স্টাম্প। দুর্ভাগ্যজনক আউটই।
মুশফিকের ফেরার পর নাসির মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেছিলেন আরো ২৮ রান। কিন্তু অ্যাগারের বলে উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দেন নাসির। আউট হওয়ার আগে নাসির খেলেন ৯৭ বল। মেরেছেন ৫ বাউন্ডারি। মিরাজ ভালো খেলছিলেন। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নারের অসাধারণ এক থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। মিরাজ ৪৫ বলে করেন ১১ রান।
লায়নের সপ্তম শিকার তাইজুল ইসলাম। স্লিপে স্টিভ স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তাইজুল। তার দারুণ একটা ছয়ে অবশ্য তিন শ পেরিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। ম্যাক্সওয়েলকে লং অনের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলে দর্শকদের তিন শর উল্লাসে মাতান তিনি। সব কটি উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০৫।
এরপর ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারে এসেছিল ‘ব্রেক থ্রু’। ম্যাট রেনশকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ রান করে রেনশ ফিরে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৫/১। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ দ্রুত এগিয়ে নেন দলকে। ২৯তম ওভারে আক্রমণে এসেই দারুণ এক ডেলিভারিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। স্টিভেন স্মিথকে করেন বোল্ড। ৫৮ রান করে স্মিথের বিদায়ের সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৯৮/২। এরপর আর ইউকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ দলের বোলাররা।