
বাংলাদেশ দলের প্রধান অস্ত্র তিনি। তাকে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাণভোমরা। ব্যাটে-বলে দলকে পথ দেখাতে তার জুরি নেই। তার নামের পাশে এঁটে আছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খেতাব। হ্যাঁ, সাকিব আল হাসান। ব্যাটে বলে আলো ছড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশকে প্রথম টেস্ট জেতানো সাকিবই কি না সাদা পোশাক থেকে ছয় মাসের বিরতি নেয়ার কথা ভাবছেন!
চোখ কপালে ওঠার মতোই খবর! তবে এমনই হতে যাচ্ছে। চাপ নিয়ন্ত্রণে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের অবসরে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আর এটা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপরারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের উদ্ধৃতি দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ।
তবে সেটা এখনই নয়। এর জন্য সাকিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে হবে বিসিবি বরাবর। এরপর বিসিবি বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আকরাম খান বলেছেন, ‘সাকিব আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার পর আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব। আমরা এ বিষয়ে শুনেছি, তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু পাইনি।’ আকরাম জানান, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে সাকিব প্রস্তুত। কিন্তু টেস্টে সাকিবের খেলার ব্যাপারে নিশ্চিত নন তিনি।
১০ সেপ্টেম্বরই লিখিত আবেদন করার কথা সাকিবের। এরআগে শনিবার নিজের বাসভবনে বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পরিচালকদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সভা করেছেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ধারণা করা হচ্ছে সেই সভাতেও সাকিবের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিসিবি সভাপতির কাছে সাকিব তার ক্লান্তি ও নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করার কথা জানিয়েছেন। সাকিবের বিশ্বাস, ছয় মাসের বিরতির পর তার উৎসাহ বা উদ্যেমের স্তর আবারো শীর্ষে ফিরে আসবে। জানা গেছে, আবেদনের পুরো ছয় মাস না মিললেও টেস্ট থেকে তিন মাসের বিশ্রাম পেতে পারেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করার কথা বিসিবির। বোঝাই যাচ্ছে, সাকিবের এমন আবেদনের কারণেই দল ঘোষণা করতে দেরি করছে বিসিবি। তবে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর বিশ্বাস, বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৫১টি টেস্ট খেলা সাকিব তার সিদ্ধান্ত বদল করবে।
যদিও সাকিবের লিখিত আবেদনের আগে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি তিনি। নান্নু বলেছেন, ‘আমার মনেহয় সে টেস্ট দলে থাকবে। সে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করলে আমরা কেবল তার বিকল্প নিয়ে ভাবতে পারি। সেটার আগ পর্যন্ত আমরা সব সময়ই মনে করতে পারি, সে টেস্ট দলে থাকছে।’ দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।