অবশেষে মুখ খুললেন মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি। দেশটিতে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনায় প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি।
তবে রাখাইনের মানবিক সঙ্কটের বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। উল্টো রোহিঙ্গাদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে এক হাত নিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটকে ঘিরে অনেক ভুয়া তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে এবং ‘সন্ত্রাসীরা’ এগুলো ছড়াচ্ছে।
বিবৃতিটি প্রকাশের আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরগানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন সু চি। এরদোনকে সু চি বলেন, রোহিঙ্গা জঙ্গিরা ভুল তথ্য প্রকাশ করছে। অত্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে তারা এসব করছে বলে মন্তব্য করেন সু চি।
বিবৃতিতে সু চি আরো বলেন, ‘আমরা ভালো করে জানি, অন্য অনেকের চেয়ে বরং বেশি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা বলতে আসলে কী বোঝায়।’ ফলে মায়ানমারের সব মানুষের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মঙ্গলবার জানায়, ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় সোয়া লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বন্ধে মায়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে, সু চির নোবেল পুরস্কার বাতিলের দাবি জানিয়েছেন অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইউরোপিয়ান মিডিয়া ডাইরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্র্যোলাইনও আছেন তাদের মধ্যে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, একটি দুষ্ট শাসকের সহানুভূতিহীন প্রতিমা হিসেবে সু চি আবির্ভূত হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। তসলিমা নাসরিন গার্ডিয়ানের এই বক্তব্য টুইট করেছেন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে