সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ প্রথম দফা বন্যার রেশ কেটে উঠতে না উঠতেই ফের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বানের পানিতে ভাসছে ৬০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে আমন ক্ষেত। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ। ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন বানভাসি পরিবার গুলো।
পাঁচদিন ধরে টানা অবিরাম বষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, কঞ্চিবাড়ী, শান্তিরাম, দহবন্দ ও পৌরসভার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পানিতে থৈ থৈ করছে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নি¤œাঞ্চল। চরাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবার গুলো উচুস্থানে,আশ্রয়ন কেন্দ্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পানি উন্নয়ন বোডের বেঁরি বাধে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার চরাঞ্চলের কৃষকদের তোষাপাটের জাঁক ভেসে যাওয়ায় মাথায় হাত দিয়ে বসেছে তারা। এদিকে বন্যার সুন্দরগঞ্জ-পঞ্চনন্দ সড়ক ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নের সব ক‘টি ওয়াড় ডুবে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছে কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী আফিসার এসএম গোলাম কিবরিযা জানান, পানি বেড়েই চলছে। আমরা আশঙ্কা করছি বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সর্তক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারি ভাবে এ পযন্ত ৪০ মেট্রিকটন খাদ্যশষ রেশিও অনুযায়ী বিভাজন করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরন করা হচ্ছে।