সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। তবে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বামনডাঙ্গা ও সর্বানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের উপর দিয়ে পানির প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা প্রসাশন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অপরদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি,ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা সংকটে পড়েছেন বানভাসিরা। বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে, দশ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পযন্ত অনেক দুর্গম চরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি,ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়নি। যার কারণে বানভাসিরা নানাবিধ রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সর্দি,জ¦র, পেটের পিড়া, চর্ম রোগ, পানি বাহিত নানাবিধ রোগব্যাধি দেখা দিয়াছে বানভাসিদের মাঝে। পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট না পাওয়ায় অনেকে অতিকষ্ঠে পানি ফুটিয়ে পান করছে। ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বানভাসিরা এখনো সেই মানধাতা আমলের পানি পড়া ও তাবিজ কবজ কবিরাজের কাজ থেকে রোগ ব্যাধি সাড়ছে। কাপাসিয়ার চরের আনছার জানান বন্যা উঠার পর থেকে এখন কোন প্রকার ওষুধপাতি পায়নি।
ইউএনও এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রতিদিন তাগাদা দেওয়ার পরও কোন প্রকার মেডিকেল টিম দুর্গম চরাঞ্চলে গিয়ে কাজ করছেন না। তিনি বলেন আমার উপজেলায় ইউএইচএ না থাকায় বানভাসিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে সমস্যা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বিশ্বশ্বর বর্মন সরকার জানান চিকিৎসক সংকটের কারণে বানভাসিদের সটিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।