সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুরÑচিলমারি তিস্তা সেতুর উদ্বোধন করেন । কিন্ত তিন বছর অতিবাহিত হলেও মুল সেতুর টেন্ডার আজও করা হয়নি। যার কারণে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসি উদ্বিঘœ হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রামের চিলমারি, রাজীবপুর ও রৌমারী এবং গাইবান্ধা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর। স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেও আজও আলোর ঝলক দেখতে পায়নি এলাকাবাসি। ১ দশমিক ৪৯০ কিলোমিটার পিছি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করার হবে এই তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয়পাশে^ নদী শাসন করা হবে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পাশে^ সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার। এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করা হবে ৯০.৮৪ হেক্টর। এর চিলমারী এলাকায় ২২.৫ হেক্টর এবং গাইবান্ধা এলাকায় ৬৮.৩৪ হেক্টর।
একটি সূত্রে জানা গেছে মূল সেতু টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের স্থবিররতার কারণে যাবতীয় কার্যক্রম থামিয়ে গেছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপেই সম্ভব তিস্তা সেতু নির্মাণের অগ্রবর্তি বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।
গত ১৫ জুন জাতীয় সংসদে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ বাজেট অধিবেশনে হরিপুর তিস্তা সেতু নিয়ে বক্তব্য রাখার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে ইতিমধ্যে সড়ক নির্মাণের মাটি ভরাটের টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু মুল সেতুর টেন্ডার আজও হয়নি। সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদ জানান- আমি আশাবাদি খুব শীঘ্রই এর টেন্ডার হবে। তিনি আরও বলেন টেন্ডার না হওয়ার কারণে তাঁর এলাকার জনগণ উদ্বিঘœ হয়ে পড়েছেন। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানান, তিস্তা সেতু যাবতীয় কার্যক্রম গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে পরিচালিত হচ্ছে।