গাইবান্ধা প্রতিনিধি: টানা বর্ষণ আর ভারতের মেঘালয় ও আসাম থকেে পাহাড়ী ঢল নমেে এসে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সাঘাটায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটার কারণে উপজলোর ২১টি গ্রামরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানবিন্দি হয়ে পড়ছে। হুমকীর মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সাঘাটা গাইবান্ধা সড়ক। জানা যায়, গত কয়কে দনি ধরে অবরিাম র্বষণ আর ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নমেে আসা ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সাঘাটা উপজেলায় বন্যা নয়িন্ত্রণ বাঁধরে পূর্বাংশের ৫ টি ইউনিয়নের ২১টি গ্রাম প্লাবতি হওয়ায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানবিন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার্ত এলাকার ৩৯ সরকারী প্রাথমিক ও ৭ টি উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রামের মানুষ গবাদী প্রানী ও পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে রয়েছে ।ওইসব এলাকায় গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়ক হাট ভরতখালী এসকেএস মোড় হতে কুঁকড়াহাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিঃমিঃ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কচুয়ার পুটিমারি নামক স্থান হতে উত্তর সাথালিয়া পর্যন্ত ৩ কিঃমিঃ জুড়ে হুমকীর মুখে পড়েছে।
সড়কের কোন কোন স্থানে পানি গড়িয়ে পড়ায় পানি উন্ন য়ন বোর্ড ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে বালির বস্তা ফেলে সড়ক ও বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে। এদিকে পানিবন্দি মানুষ গুলোর মধ্যে ডাকাতের আতংক বিরাজ করছে। ডাকাতরা বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে কৃষকের গরু-ছাগল ও মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার ভয়ে মানুষ নৌকা যোগে এলাকায় এলাকয় মাইকিং করে তাদের বাড়ি-ঘর পাহাড় দিচ্ছে। এছাড়া এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষরা বেকার হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে খাদ্যর সংকট দেখা দিয়াছে । পাশাপাশি গো – খাদ্যর সংকট দেখা দিয়াছে প্রকট ভাবে হলদয়িা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, হলদিয়ার সব কয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লোকজন পানিবন্দী হয়ে বিপাকে পড়ছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে এান না দেওয়ায় হতাশায় চাতক পাখির মতো চেয়ে অাছেন বান ভাসিরা ।মঙ্গলবার পর্যন্ত পানি বাড়ছে বলে জানা যায়।