
বহুল আলোচিত বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের পর মা-মেয়েকে বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, শাশুড়ি রুমি বেগম ও সহযোগী মুন্নার আরো বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশ বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে হাজির করে তাদের ৭দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তুফান সরকার ও মুন্নার দুই দিন করে এবং তুফানের স্ত্রী ও শাশুড়ির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে জীবন রবি দাস নামের এক আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে বগুড়ায় এবার এসএসসি পাস করা এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাদের অপবাদ দিয়ে বর্বর নির্যাতন করে তুফান ও তার সহযোগিরা। এর মধ্যে তুফানের স্ত্রীর বড়বোন পৌর কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। চার ঘণ্টা ধরে তারা ছাত্রী ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৮ জুলাই রাতে শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রথম দফায় তুফানের তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়। এ ছাড়া তুফানের স্ত্রী আশা সরকার ও শাশুড়ি রুমি বেগমের দুই দিনের রিমান্ড শেষ হয়।