
মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনকি আব্দুল জব্বার। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার পরে তাকে সেখানে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ১১টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শহীদ মিনারে আব্দুল জব্বারের মরদহে সর্বধারণের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট তাজুয়া আকরাম ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
আব্দুল জব্বারকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী খালিদ হোসেন, শাহীন সামাদ, এসডি রুবেল প্রমুখ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক আব্দুল জব্বার বুধবার সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
চলতি বছরের মে মাসে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান জানান, আব্দুল জব্বার ক্রনিক কিডনিজ ডিজিস (সিকেডি) স্পেস ফোরে ভুগছেন। এছাড়া তার লিভারে সমস্যা ছিল।
‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়’সহ অসংখ্য গানের গায়ক আব্দুল জব্বার।
তার গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ ও ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান তিনটি ২০০৬ সালের মার্চ মাসে বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি গানের তালিকায় স্থান পায়।
তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (১৯৯৬) ভূষিত হন।
আব্দুল জব্বার ১৯৩৮ সালের ৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।