
বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনার পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা এলাকার পাউবোর বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার পর্যন্ত সারিয়াকান্দি উপজেলার নয়টি, সোনাতলা উপজেলার তিনটি এবং ধুনট উপজেলার দুটিসহ জেলার ১৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৪৫৫টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে ৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনার পানি আজ দুপুরে বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ছুঁই ছুঁই করছে। মঙ্গলবার সকাল ছয়টা নাগাদ তা বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া সেখানে দুই হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেট পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি পরিবারে গড়ে পাঁচজন সদস্য ধরে সরকারি হিসাবে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। তবে, বাস্তবে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা লক্ষাধিক।