খবরবাড়ি ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপি’র টোংরারদহ নামক স্থানে ও হোসেনপুর ইউপি’র কিশামত চেরেঙ্গায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি প্রবেশ করে ২৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপির বড়শিমুলতলা, তেকানী, প্রজাপাড়া, কেশবপুর, চকবালা, সগুনা, পশ্চিমমির্জাপুর, কাশিয়াবাড়ী, কিশোরগাড়ী, গনকপাড়া, হাসানখোর, জাফর, মুংলিশপুরসহ ১৩ এবং হোসেনপুর ইউপি’র কিশামত চেরেঙ্গা, চেরেঙ্গা, চাকলা, দৌলতপুর, করিয়াআটা, মধ্য রামচন্দ্রপুর, আকবর নগর, শ্রীখন্ডি, খাসবাড়ী, শাহিনদহ, শ্রীকলা, হোসেনপুর, আটঘরিয়াসহ ১৩ গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।
রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার ফলে নৌকা ছাড়া উল্লেখিত গ্রামগুলোতে যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা নেই। উল্লেখিত গ্রামগুলোতে আমন ধান ক্ষেত, বীজতলা, শাক-সবজির ক্ষেত, পানেরবরজ, আখক্ষেতসহ বিভিন্ন কাঁচা সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার কৃষক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষেরা। সেই সাথে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সঙ্কট। পানিতে নিমজ্জিত গ্রাম সমূহের প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার আজিজুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষণে উপজেলায় মোট প্রায় ৩ হাজার ৪’শ ৫০ হেক্টর এবং বাঁধ ভাঙ্গার কারণে কিশোরগাড়ী ও হোসেনপুরে প্রায় ৪’শ ৫০ হেক্টর জমির আমন ধানসহ অন্যান্য সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাইবান্ধা-০৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ ও বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় পরিদর্শন কালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাওছার মোঃ নজরুল ইসলাম লেবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনুর আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব এবং হোসেনপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু উপস্থিত ছিলেন।