অবশেষে সুইডিশ সেই নারী সাংবাদিকের মুণ্ডুহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে ডেনমার্ক পুলিশ। ওই নারী সাংবাদিক বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর ২১ আগস্ট বাল্টিক সাগর থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি কিম ওয়ালের দেহাবশেষ বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। তবে তারা শতভাগ নিশ্চিত নন।

কিম ওয়াল গত ১০ আগস্ট সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ডেনিশ উদ্ভাবক পিটার মেডসেনের বানানো সাবমেরিনের ভেতরে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ডেনমার্ক পুলিশ গত সোমবার (২১ আগস্ট) ব্যাপক তল্লাশি শেষে বাল্টিক সাগরে এক নারীর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন। কোপেনহেগেনের পুলিশ প্রধান জেনস মুলারি জেনসেন সেসময় জানিয়েছিলেন, মৃতদেহটি মস্তক, পা এবং হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে,উদ্ধার হওয়া দেহটির ডিএনএ’র সঙ্গে নিখোঁজ সুইডিশ মহিলা সাংবাদিক কিম ওয়ালির সাদৃশ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে ডেনমার্কের পুলিশ। বুধবার ডেনমার্কের পুলিশ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানোর আশ্বাস দিয়েছে।

সুইডিশ নারী সাংবাদিক কিম ওয়ালের কীভাবে মৃত্যু হল তা এখনই বলতে পারেনি পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বড়সড় কেলেঙ্কারি জানতে পারার জন্যই তাকে খুন করা হয়েছে।

এরইমধ্যে পুলিশ সাবমেরিনটির মালিক এবং চালকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহ পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক টেস্টে। মৃত্যুর আগে কিম ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া সাবমেরিন মালিক পিটার ম্যাডসেন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। শুরুর দিকে পিটার মেডসেন দাবি করেছিলেন, তিনি কিম ওয়ালকে ঘটনার দিন কোপেনহেগেনের কোন এক দ্বীপে নামিয়ে দেন। তবে এখন পিটার পুলিশের কাছে বলছেন, কিম সেদিন এক দুর্ঘটনায় নিহত হন এবং তাকে কোপেনহেগেনের কাছের কোগে বে নামক স্থানে সমাহিত করা হয়।