
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও জেলাপরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুর রায়হান এর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার মাহমুদুর রহমান।যার নং-৬৮৬।
গত ১৬ আগষ্ট বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে ইউএনও থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটানা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান, বিভিন্ন সময়ে তার আবদার রক্ষা করতে না পারায় দাপ্তরিক কাজে সুবিধা না পেয়ে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অসদাচরণ ও হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের অবহিত করেছি। ঘটনার পরে ১৬ আগষ্ট রাতে বাধ্য হয়ে আমার নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি।
এব্যপারে পার্বতীপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও জেলাপরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুর রায়হান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ পার্বতীপুর শাখার সভাপতি থাকা কালে পার্বতীপুরের নানাবিধ দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছিলাম। এখনো অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার। ১৩ আগষ্টে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে তথ্য অধিকার আইনে ২০১৫-২০১৬ হইতে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের উন্নয়ন মুলক জনসেবার সকল কার্যক্রমের তথ্য চেয়ে লিখিত আবেদন করেও কোন তথ্য পাইনি। এব্যাপারে পার্বতীপুরে বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দেওয়াটাই আমার অপরাধ। সঠিক কথা বলতে গিয়ে আজ আমি রোষানলের স্বীকার। তিনি আরো বলেন আমার বিরুদ্বে যে সব কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ন বানোয়াট। জেলা পরিষদের প্রেরণ কৃত একটি চিঠির ব্যাপারে জানার জন্য গত কয়েক দিন যাবৎ আমি তাকে (ইউএনও) তার সরকারী মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরে তার (ইউএনওর) দপ্তরে গিয়ে ফোন রিসিভ না করার কারণ জানতে চাইলে প্রতি উত্তরে তিনি বলেন, আমি আপনার চাকুরী করি না তাই আপনার ফোন রিসিভ করতে আমি বাধ্য নই। আমি তার সাথে কোন প্রকার অসদাচরণ করিনি বরং তিনিই (ইউএনও) আমার সাথে অসদাচরণ করেছেন বলে জানান জেলাপরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুর রায়হান নেতা।সূত্র-আরটিএনএন