
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাইফ পাওয়ার ব্যাটারী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে টিম বিজেএমসিকে ২–০ গোলে পরাজিত করেছে বন্দর নগরীর ক্লাবটি। ম্যাচের ৬৩ ও ৭২ মিনিটে গোল দুটি করেছেন যথাক্রমে নাইজেরিয় ফরোয়ার্ড আফিজ ওলাওয়ালে ওলাডিপো এবং তৌহিদুল আলম সবুজ।
এ জয়ের ফলে লীগে টানা তৃতীয় জয় নিশ্চিত করল কোচ সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। পাশাপাশি পৌঁছে গেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে। লীগের প্রথম ম্যাচে তারা ২–০ গোলে হারিয়েছিল ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে। দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ঢাকা মোহামেডানকে ১–০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
আজ ম্যাচের শুরুটা ছিল বেশ সাদামাটা। এ সময় একে অপরকে পরখ করেই কাঠিয়েছে পুরো প্রথমার্ধ। ছিলনা উল্লেখ করার মত কোন আক্রমণ। পুরো সময়টা মধ্যমাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল বল দখলের লড়াই। দুই একবার আক্রমণ প্রতি আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও সেগুলো গোল করার পর্যায়ে পৌঁছায়নি। যে কারণে গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় প্রতিদ্বন্দ্বি দল দুটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অবশ্য পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারা। এসময় গোল করার জন্য আক্রমণের ধারও বাড়িয়ে দেয় উভয় পক্ষ। তবে শেষ হাসি হেসেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওলাডিপোর গোলে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বঁাঁ প্রান্ত থেকে মনসুর আমিনের ক্রসের বল ডি বক্সে বাঁ পায়ের আলতো শটে গোল করেন তিনি (১–০)।
৯ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিগুণ দূরত্বে পৌঁছে যায় বন্দা নগরীর ক্লাবটি। ৭২ মিনিটের সময় পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে ওই সফলতা লাভ করে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডার মনসুর আমিন আড়াআড়িভাবে বল পাঠিয়ে দেন সমান্তরালে ডান প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে যাওয়া তৌহিদুল আলম সবুজকে। বিজেএমসির ডি বক্সের লাইনেই বল পেয়ে যান তিনি। সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুইকদম এগিয়ে বাঁ পায়ে মাটি কামড়ানো শটের সাহায্যে দ্বিতীয় বার ঘেষে জালে পাঠিয়ে দেন সবুজ। তার এমন আচমকা শটের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না গোলরক্ষক সোহাগ হোসেন পলাস। যখন বুঝতে পারেন তখন তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু তখন বল নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় (২–০)। সূত্রঃ বাসস