গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ নারায়নগঞ্জে ঝিঁয়ের কাজ করতাম। ভেবেছিলাম সেই টাকা দিয়ে ছেলে আবদুর রাজ্জাকের চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে পারবো। কিন্তু ছেলেমেয়েদের সময় দিতে পারতাম না বলে পরে সে কাজটা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন টাকার অভাবে ছেলের ঠিকমত চিকিৎসাও করাতে পারছি না। সমস্যা দিনদিনই বাড়ছে। রাজ্জাক খেতে চায়না। ফলে বেশিরভাগ সময়ই সে অসুস্থ্য থাকে। আমার ছেলেটা কি বাঁচবে না? কথাগুলো বললেন ১৫ মাস বয়সী অসুস্থ্য আবদুুর রাজ্জাকের মা রিনি বেগম। আবদুর রাজ্জাকের জন্মগত হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় চার লাখ টাকার প্রয়োজন। রাজ্জাকের বাবা মোস্তা মিয়া নারায়নগঞ্জ জেলায় রিকশা চালান। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাঁড় ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে। অর্থের অভাবে এখন রাজ্জাকের চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
আবদুর রাজ্জাকের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রাজ্জাক তৃতীয়। বড় বোন মিতু আক্তারের বয়স ৯ বছর ও ছোট বোন রিতু আক্তারের বয়স ৭ বছর। নারায়নগঞ্জে মিতু দ্বিতীয় শ্রেণি ও রিতু প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। টাকার অভাবে তারা নিয়মিত স্কুলে যায়না। জন্মের ১৫ দিন পর রাজ্জাক হঠাৎ অসুস্থ্য হলে প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর চিকিৎসকরা দেখেন, রাজ্জাকের হার্টে ছিদ্র ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। এরপর ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালেও চিকিৎসা চলে রাজ্জাকের। কিন্তু চিকিৎসা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে বাবামায়ের জন্য। ডাক্তাররা জানায় অপারেশনসহ চিকিৎসার জন্য প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হবে।
মোস্তা মিয়া বলেন, পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ডাক্তার বলেছেন, রাজ্জাকের হার্টে ছিদ্র ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। রিকসা চালিয়ে যে টাকা আয় হয় সেই টাকা দিয়ে সংসার ঠিকমত চলেনা। তারপরও ছেলেও চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। মোস্তা মিয়া ও রিনি বেগম সন্তানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। মোবাইল নং: ০১৯৩১৯৩৩৫১২ ও ০১৭৭৯৬৫৫০৮২।