কাতার সঙ্কট সমাধানে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিবেশি রাষ্ট্র কুয়েত। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে সঙ্কটের সঙ্গে জড়িত দেশগুলোর মধ্য একটি সরাসরি সংলাপ শুরু করার সুযোগ সৃষ্টি করা।
চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মদদ দেয়ার অভিযোগে গত ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশর কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে এই অচলাবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।
সোমবার কুয়েতী আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ’র রাষ্ট্রদূত হিসাবে দেশটির প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল হামাদ আল সাবাহ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল আবদুল্লাহ সৌদি আরব এবং মিশর সফর করেন।
তারা সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এক বৈঠক করেন এবং সর্বশেষ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সাধারণ স্বার্থের বিষয়ে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ’র একটি লিখিত বার্তা পেশ করেন।
একই দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রদূতদ্বয় মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং আামিরের একটি চিঠি তার কাছে হস্তান্তর করেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়।
পরে মঙ্গলবার এই দুই রাষ্ট্রদূত ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের উদ্দেশ্য মিশর ত্যাগ করেন।
চলমান এই উত্তেজনা নিরসনে কুয়েতের আমির একটি উদ্যোগ নেন; যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পায়। কিন্তু পরে মধ্যস্থতার ওই প্রচেষ্টা স্থগিত করা হয়।
কুয়েতের দৈনিক ‘আল রায়ই’য়ের উদ্ধৃতি দিয়ে উপসাগরীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে কুয়েতের নেতৃত্বে এই উদ্যাগ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে ‘সকল পক্ষের মধ্যে একটি সরাসরি সংলাপ শুরু করার সুযোগ সৃষ্টি করা’।
সূত্র জানায়, ‘সন্দেহ, বিভ্রান্তি এবং মিডিয়ার শোরগোল থাকা সত্ত্বেও, কুয়েতের নীতিগত অবস্থান হচ্ছে উপসাগরীয় কাঠামোর মধ্যে থেকেই এই বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতা করা এবং আঞ্চলিক হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে এমন ব্যবধানের দরজা খুলতে নয়।’
সূত্রটি বলছে, ‘কুয়েত উপসাগরীয় কাঠামোর মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অত্যন্ত আগ্রহী, বিশেষ করে সব পক্ষই একাধিকবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, কুয়েতের মধ্যস্থতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং তাদের প্রচেষ্টা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারে এবং এই সঙ্কটের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দেশগুলোর সংলাপের পথে পরিচালিত হতে পারে।’
সূত্র: গাল্ফ নিউজ ডটকম