আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হামবুর্গে জি-টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ জানিয়েছেন, দুজনের মধ্যে যখন দেখা হয় তখন তারা করমর্দন করেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই তারা বৈঠকে মিলিত হন। খবর বিবিসির।
সোয়া দুই ঘন্টার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সিরিয়ার যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি বৈঠকে মূলত ট্রাম্পের পক্ষ থেকেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেন পুতিন এবং এ ধরনের খবর প্রচারে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে গোপন সম্পর্ক বা সমঝোতা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। পরবর্তীতে এ নিয়ে ব্যাপক হৈ চৈ হয়েছে।
দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের আগেই এই দুজনের প্রথম সাক্ষাৎটি কেমন হবে, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কদিন ধরেই নানা জল্পনা-কল্পনা আর রঙ্গ চলছিল।
অনেকে টুইটারে এই বৈঠক নিয়ে নানা রকম কৌতুক আর দুজনের ফটোশপ করা ছবি পোস্ট করেছেন।
একটি ছবিতে দেখা যায় পুতিনের কোলে চড়েছেন ট্রাম্প, আর এক হাতে টি-পি (ট্রাম্প-পুতিন) লেখা একটি পতাকা, অন্যহাতে এক গোছা ফুল ধরে রেখেছেন।
আরেকটিতে দেখা যাচ্ছে পুতিনের সুতোর টানে পুতুল নাচ নাচছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে গোপন সম্পর্ক বা সমঝোতা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল।
ভ্লাদিমির পুতিন অতীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ প্রশংসা করেন। গত জুনে তিনি বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব ‘সোজাসাপ্টা এবং খোলা মনের’ মানুষ।
এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি ট্রাম্পকে একজন বর্ণাঢ্য এবং মেধাবী লোক বলে মন্তব্য করেন। তিনি তখন আরো বলেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পই সত্যিকারের নেতা, কিন্তু তিনি কতটা যোগ্য তার বিচারের ভার মার্কিন ভোটারদের।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিভিন্ন সময়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক মন্তব্য করেন। তিনিও এমনও বলেছিলেন, পুতিনের সঙ্গে তার বেশ চমৎকার একটা সম্পর্ক হবে বলে তিনি আশা করেন।
উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রাভাবিত করতে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এই অভিযোগ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিতর্ক চলছে।
কাজেই হামবুর্গের বৈঠকে তারা কি নিয়ে কথা বলেন, সেটা জানার জন্য উন্মুখ অনেকেই ছিলেন।