হয়ে গেল জমকালো আয়োজনে ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির বিয়ে। মেসি-রোকুজ্জোর সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। ছেলেবেলার খেলার সাথী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বন্ধনে আবদ্ধ হন এ সময়কার অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার। সানাইয়ের সুরে নেচে গেয়ে বন্ধুর বিয়েতে মাতিয়ে রাখেন মেসির সতীর্থরা। বিয়ের পর্ব শেষে এবার স্ত্রীকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় যাবেন মেসি।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম বলছে, ১২ জুলাই মেসি-অ্যান্তোনেলা বাহামায় উড়ে যাবেন হানিমুন করতে৷ আপাতত জীবনের নতুন ইনিংস নিয়েই মজে আছেন চারবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলারটি। বাবা-মার মধুচন্দ্রিমায় সঙ্গী হবেন দুই ছেলে থিয়াগো ও মাতেও।
১৯৯৬ সালে। লিওনেল মেসি তখন ৯ বছরের বালক। প্রেম, ভালবাসা এই শব্দগুলোর সঙ্গে তখন আলাপ হয়নি। বন্ধু লুকাস স্ক্যাগলিয়ার সঙ্গে রোজারিওতে ফুটবল খেলেই সময় কাটত মেসির। কিন্তু শুধুই কি বন্ধুর সঙ্গ? নাকি আরও কারও সঙ্গ চাইত মন?
শেষমেশ স্ক্যাগলিয়ার কাজিন আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির দেখা। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়া, ভালো লাগা। ধীরে ধীরে সেটা ভালোবাসায় রূপ নেয়। ২০০৭ সালে জানাজানি হয় এই সম্পর্কের কথা। এরপর তিন বছর চলে প্রেমের লুকোচুরি খেলা। অবশেষে গাঁটছড়া বাঁধা।
বিয়েতে অতিথি হিসেবে ছিলেন মেসির বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ, নেইমার, জেরার্ড পিকে ও তার স্ত্রী গায়িকা শাকিরা, কার্লোস পুয়েল, সেস ফ্যাব্রিগাস ও তার বাগদত্তা দানিয়েলা, স্যামুয়েল ইতো, আগুয়েরো ও তার স্ত্রী কারিনা, জাভি আলোনসো, জিকুয়েল লাভেজ্জির মতো তারকারা।
অবশ্য একটা বিষয় অনেককে অবাক করেছে। মেসির বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। বাদ পড়েন লুইস এনরিকে। বিয়েতে ২৬০ জন অতিথির নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষায় ৩০০ জন নিরাপত্তারক্ষী কাজ করেন। মেসির বিয়ে কভার করেন ১৫০ জন সাংবাদিক।