এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ বলেন- বতর্মান সরকার গরিব দুঃখি বান্ধব সরকার। সরকারের ত্রাণের অভাব নেই। আমার পর্যাক্রমে সকলের মাঝে ত্রাণ পৌছে দিব। যাদের ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদেরকে ঢেউটিন এবং টাকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন ত্রাণ বিতরণের কোন অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন আমি নিজেও একজন নদী ভাঙ্গা মানুষ। আমি বুঝি তাদের কষ্ট। সোমবার বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল খেলার মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ পূর্ব এক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। আরো বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার প্রমূখ। এসময় উপস্থিতি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভুমি) সামিউল আমিন, আরএমও ডাঃ বিশে^শর সরকার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার গোলাম আজম, থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ্, মনোয়ার আলম সরকার ও ছামিউল ইসলাম প্রমূখ।

জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত চার দিনের ব্যবধানে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি কমে গেছে। তিনি বলেন- সরকারিভাবে এপর্যন্ত ৮২৫ মেট্রিক খাদ্য শস্য, ২৮ লাখ টাকা, ৬ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট, ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়ি জন্য ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে ফিরে দেখা গেছে বর্তমানে বন্যার্তদের মাঝে চিকিৎসা সেবা ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের কাজিয়ার চরের আনসার আলী জানান- তারা ত্রাণ চান না। তারা তাদের বসতভিটা উঁচু করে চায়। তিনি আরও বলেন-চরের জমিতে এখন সোনা ফলে প্রতি বছর বন্যায় পলি জমে উরর্বর হয়ে উঠে চরের মাটি। সেখানেই ফলে নানাবিধ ফসল। সে কারণেই তাদের ঘর বারবার ভাঙ্গলেও চরাঞ্চল থেকে কোথায় যান না তারা। অপরদিকে পানি কমে যাওয়া বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।
বন্যার্তদের চিকিৎসা সেবার জন্য জেলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বন্যার্তদের জন্য কয়েকটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তা আজও জানান যায়নি। তবে আরএমও ডাক্তার বিশে^স্বর সরকারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম বিভিন্ন ইউনিয়নে সেবা প্রদান করে আসছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার শহিদুল্লাহ দেওয়ানকে বন্যা চলাকালিন সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাওয়া যায়নি।
একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি অফিসে না এসে বগুড়ায় বসে থেকে মোবাইল-ফোনের মাধ্যমে যাবর্তীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কয়েক দফা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া জানান সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্যা প্লাবিত প্রতি ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণের জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। রিলিপ ও ট্যাক অফিসারের পাশাপাশি মনিটরিং কমিটি অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ করছেন। সরকারিভাবে আমার উপজেলায় যা বরাদ্দ পেয়েছি তা রেশিও অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে বিভাজন করে দেয়া হয়েছে।