এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ অবিরাম ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ চরাঞ্চলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ হাজার পরিবার। শনিবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরিবাঁধ পরিদর্শন করেছেন।
গত তিন দিন ধরে হঠাৎ আকর্ষিকভাবে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। যার কারণে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ার ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বিশেষ করে কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলবাসি চরম দুভোগে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরিবাঁধ। পানিবন্দি পরিবারগুলো ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উ”ুস্থানে এবং বেরিবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এদিকে চরাঞ্চলের শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, প্রসূতি, প্রতিবন্ধী ও গৃহপালিত পুশু পাখি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি পরিবারগুলো। পানিতে সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ডুবে গেছে ৫ শতাধিক একর জমির তোষাপাট।

কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান তার ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ড পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কমপক্ষে ৩ হাজার পরিবার পানিতে ভাসছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া জানান এখন পর্যন্ত পানিবন্দি পরিবারের তালিকা সঠিকভাবে নিরপর্ণ করা সম্ভব হয়নি। চেয়ারম্যানদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের পানিবন্দিতের তালিকা জরুরী ভিক্তিতে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন প্রকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি।
উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরিবাঁধের শ্রীপুর ইউনিয়নের কামারজানি সুইচ গেট হতে হরিপুর ইউনিয়নের বিবিসি’র মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার বাঁধ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সামিউল আমিন, ওসি আতিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, মনোয়ার আলম সরকার, নাফিউল ইসলাম প্রমূখ।