টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদী-হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিলেটে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৪০টি গ্রাম। প্লাবিত গ্রামগুলো সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। এ ছাড়া জেলার বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে প্রশাসন। ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে টানা বৃষ্টির কারণে বরাক নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বরাকের শাখা নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ফেঞ্চুগঞ্জে ও ওসামানী নগরে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় ১২৮ মেট্রিকটন চাল ও দুই লাখ ৭৮ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে আরও ত্রাণ ও সাহায্য দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসনের হিসাবে, নয়টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলায় নয়টি আশ্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে ৮৯টি পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এসব পরিবারকে খাদ্য, চিকিৎসাসহ সব ধরনের আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয় ব্যক্তিদের মতে, জেলায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ হবে।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। ভারি বর্ষণের ফলে সিলেট ও চট্টগ্রামে পাহাড়ধস হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।সূত্র- আরটিএনএন