গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভিজিডি মাল বিতরণে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসারের সম্মানী ভাতার টাকা বিতরণ না করেই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্তৃক আত্মসাত করা হয়েছে। এছাড়াও ভিজিডি উপকারভোগীদের সঞ্চয়ী আদায়কারি ফিল্ড ট্রেইনারদের বাদ দিয়ে প্রতিমাসে তাদের সম্মানীর টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেছেন উক্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।
এব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর গোলেনুর বেগম ও গণ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী প্রধান দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। উক্ত অভিযোগের অনুলিপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণার্থে যথারীতি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাঘাটা উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ১০ জন ট্যাগ অফিসারের ৬ মাসের সম্মানী বাবদ ১৬ হাজার ২শ’ টাকা গত ২২শে জুন সোনালী ব্যাংক বোনারপাড়া শাখা থেকে অফিস সহায়ক গৌতম চন্দ্রের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। উক্ত টাকা বিতরণ না করেই তিনি তা নিজের কাছে রাখেন এবং বাড়ি চলে যান। পরবর্তীতে ট্যাগ অফিসাররা ভাতার টাকা দাবি করলে তিনি তাদের মিথ্যা কথা বলে জানান, অফিস সহকারিকে টাকাগুলো দেয়া হয়েছে মর্মে তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালান। ফলে অফিস সহকারি কর্তৃক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে তিনি গোপনে বিভিন্ন ট্যাগ অফিসারদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে সঞ্চয় আদায়কারী ফিল্ড ট্রেইনারদের বাদ দিয়ে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় উক্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চরম বিপাকে পড়েছেন। এছাড়াও উক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থাকা, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের কর্মকর্তা এবং উপজেলার ভিজিডি উপকার ভোগীদের সাথে অশালীন আচরণ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।