
দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে। এটি রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। সংকট উত্তরণের জন্য প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এর মাধ্যমে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে খুলনা নগরীর একটি হোটেলে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেছেন। খুলনা জেলা বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
খুলনা জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি পুনরায় জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ আর একটি সাজানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। আগামী নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনে করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করতে হবে। সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পূর্বে সকল রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করতে দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকার রোল মডেল। এ সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, ছলচাতুরি করে অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেল, লবণ ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। কৃষকের সারের দাম বেড়েছে, অথচ তারা পণ্যের উৎপাদিত মূল্য পান না।
কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ফরহাদ মজহারের মতো একজন মানুষকে অপহরণ করা হয় এবং এখন তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
রামপালে নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনের ক্ষতি করবে। সুন্দরবন যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে খুলনা বিভাগ হুমকির মুখে পড়বে।
সরকারের নির্যাতনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান পাঁচ বছরেও পাওয়া যায়নি। পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছে। এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হযেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘এমন দেশ আমরা তৈরি করেছি, যেখানে সভা-সমাবেশ করা যায় না।’
বর্তমান সংসদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান পার্লামেন্ট জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সেই পার্লামেন্টে পঞ্চদশ সংশোধনী গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।