
বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। গান দিয়ে মানুষের মন জয় কেরে নিয়েছেন অনেক আগেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তিনি বরাবরই নিয়মিত থাকেন। বিভিন্ন সময় তিনি সময় স্বাপেক্ষে যুক্তিযুক্ত স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। এবারও তিনি একটা স্ট্যাটাস দিলেন বাংলা চলচ্চিত্রকে নিয়ে। শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে তিনি স্ট্যাটাসটি দেন।
ঢাকাই ছবিতে চলমান অস্থিরতা নিয়ে তিনিও চিন্তিত। তাই নিজের অবস্থান থেকে চেষ্টা করছেন এই অস্থিরতা দূরীকরণে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখার। সেই হিসেবে কয়েক দিন আগেও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন আসিফ। খবরবাড়ি 24.com পাঠকদের জন্য আজকের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
’সঙ্গীতে আমার অভিষেক প্লেব্যাকের মাধ্যমে। এই সুবাদে চলচ্চিত্রের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে পড়া। একটা সিনেমা বানাতে কি পরিমান টিমওয়ার্ক প্র্য়োজন সেটা বাইরে থেকে আন্দাজ করা সম্ভব নয়। যদিও সুস্থ্য ছবি খুব একটা তৈরী হচ্ছে না গল্পের অভাবে। কারিগরী দিক থেকে আমরা যথেষ্ট উন্নতি করলেও বিশ্বমানের টেকনিশিয়ানের একটু অভাবে রয়েছে।
ফিল্মকে যারা ভালবাসেন তারা আসলে ভালবাসার কারণেই লেগে থাকেন। একটা ফিল্ম সবার জন্য তৈরী করা মুশকিলই বটে, এই সূযোগে এক শ্রেনীর দর্শক শ্রেনীবিভাজন করে ফেলেছেন। যারা বাংলা ছবি দেখেন তারা হচ্ছেন নিম্নশ্রেনীর দর্শক, যারা দেখেন না আর সমালোচনাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন তারা উচ্চশ্রেনীর দর্শক।

আমি নিম্নশ্রেনীর দর্শক হিসেবে নান্টু ঘটক শাহীচোর শীষনাগ দর্পচূর্ন সংসার, মোল্লা বাড়ীর বউ, লালকাজল সহ শত শত ছবি দেখেছি। গত দেড় দশকে বানিজ্যিক ছবির অধঃপতন হয়েছে এটা নিশ্চিত, দায়িত্বশীল জায়গায় দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের প্রভাব বেড়ে গেলে যা হয়, তার ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে এখনো ভালো ছবি হচ্ছে, উদাহরনও দেয়া যাবে, হয়তো প্রচারনার অভাবে দর্শক টানতে পারেনি, মিডিয়াও তাদের দায়িত্ব সুষম ভাবে পালন করেনি। মোটামুটি ভালো দেশীয় ছবি যদি ধরা হয় রাজনীতি, তাহলে হল কোনো মাত্র ৩৫টি পেলো!! শাকিব খান- অপুর ছবির যদি এই হাল হয়, তবে ফিল্ম বানিয়ে দানবের সঙ্গে অসম যুদ্ধটা করবে কে?
সামাজিক গল্পের প্রেক্ষাপটে আমি একটি ছবি বানানোর পরিকল্পনা করেছিলাম, নাম ‘বাপের দোয়া কি কম দামী”, এটার প্রধান কাষ্টিং ছিলেন মিশা সওদাগর ভাই। পরবর্তী ঘোষনায় চমক হিসেবে রাখতে চেয়েছিলাম আমাদের সুপারষ্টার হিরো শাকিব খান আর আমার প্রিয় আনপ্যারালাল ভার্সাটাইল নায়িকা শাবনুর, সঙ্গে আমি। আমার একটা গুরুত্বপূর্ন রোল ছিলো শুধুমাত্র আসিফিয়ানদের জন্য। ফিল্ম বানাতে অনেক টাকা লাগে, বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়েই কাজটা করার কথা ছিলো।
এখন আমি নিজেই চমকে গেছি, বন্ধুদের বলে দিয়েছি বিনিয়োগ করার দরকার নাই। ছবি মুক্তি দেবো আর হল পাবোনা –এই সময়ে এসে মানসম্মানের কাঁথাটা কাউকে ছিড়ে ফেলতে দিতে পারিনা। তবে সময় আসবে, সময় নিয়েই আসবে ‘বাপের দোয়া কি কম দামী’। আপাতত অসংলগ্নতার বিরুদ্ধে সিস্টেম পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করি। ভালবাসা অবিরাম’।