নিউজ ডেস্কঃ মানুষ-মানুষের জন্য:জীবন-জীবনের জন্য। একটি মানবিক আবেদন।অতি দরিদ্র-অসহায় মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীর দরিদ্র জনগোষ্ঠির অতি দরিদ্র আব্দুল হক। নিজের জীবন-জীবিকার প্রতি চরম উদাসিন হলেও পরিবার-পরিজনের প্রতি সব সময়ই মনযোগি।
তবে;ভবঘুরে স্বভাবের।
ব্যকুল-উদাস মনের খাম-খেয়ালিপনায় পরিবারের অজান্তে মাঝে-মধ্যেই হক তার পরিবারকে না জানিয়েই নিরুদ্দেশ হয়ে যান। বাউলমনা হক কখনো মহাস্হান, কখনো সিলেট-আবার কখনো ভারতের আজমির শরীফসহ মাসের পর মাস দেশ-বিদেশের প্রখ্যাতসব পীর-আউলিয়ার মাজার-আস্তানায় মাথা ঠুকে-ঠুকে ঘুরে বেড়িয়ে থাকেন। সদরের অদূরে চক-শোলাগাড়ী গ্রামে মাথা গোজার মত রয়েছে এক চিলতে বসতভিটা। যেখানেই যান না কেন। পরিবারের প্রতিদিনের দু’-বেলা দু’ মুঠো অন্নের সংস্হানের দায়িত্ব-কর্তব্যের বিষয়টি সব সময়ই থাকে তার মাথায়। স্ত্রী অনেক আগেই মারা যান। ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিয়েসাধি আর করেননি। ৩ মেয়ে ২ ছেলে নাতি-নাতনি নিয়েই তার সংসার। প্রয়োজনের তাগিদেই প্রায় ৬৫ বছর বয়সি কবিরাজ হক মাঝে-মধ্যেই বাড়ী থেকে বেরিয়ে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে হয়ে পড়েন নিরুদ্দেশ ।
স্ত্রী-সন্তানের প্রাত্যহিক ভরন-পোষনের ব্যয় মেটাতে হক সব-সময়ই সচেষ্ট। সারাক্ষন তার মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সকাল-দুপুরে খেয়েছি।কিন্তু রাতে খাবো কি? অর্ধাহারে-অনাহারে সকাল-দুপুর ও রাত চলে গেলেও চিন্তা করতে হয় কাল খাবো কি ? নুন আনতে যাদের পান্তা ফুড়ায়। তাদের আবার সঞ্চয় কিসের। পারিবারিক অবলম্বনের তাগিদ থেকেই ‘হক’ ব্যক্তি-জীবনে মানব সেবায় বেঁচে নেন কবিরাজি পেশা। সদরের গাইবান্ধা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন কালীবাড়ী বাজার রাস্তা ঘেঁষে মাটিতে চটি বিছিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে বিভিন্ন গাছ-গাছরার(ভেষজ) মাধ্যমে হাঁটুরে সাধারন পথচারির মাঝে প্রাথমিক কবিরাজি চিকিৎসা সেবাদানের মধ্য দিয়ে যা আয় করেন তা দিয়েই কোন রকমে তার পরিবারের ভরন-পোষন চালিয়ে আসছিলেন।
এ অসহায়ত্বের ধারাবাহিকতায় নিজ বসত ভিঁটায় কোন রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের কুঠুরিঘরের টুডা-ফাঁটা টিন চুঁইয়ে জল পড়া বন্ধে মেরামত করতে গিয়ে টিন দিয়ে তার পা কেটে যায় গত ২ মাস আগে। তখন থেকেই অসুস্হ্য হতে থাকেন। বিভিন্ন চিকিৎসা চললেও সুস্হ্য না হয়ে সময়ের ব্যবধানে আরো গুরুতর অসুস্হ্য হয়ে পড়েন হক।
এমতবস্হায় ; দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহনের ব্যর্থতা এবং পরিবার-পরিজনের মুখে দু’বেলা-দু’মুঠো অন্নের সংস্হানের চিন্তায় হক পরিবার হয়ে পড়েন হতাশাগ্রস্হ। অবশেষে গত একমাস আগে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( নতুন বিল্ডিং- ৩ তলা, ওয়ার্ড ৩১)। সেখানে দফায়-দফায় দেখা দেয় রক্তের( বি-পজেটিভ) প্রয়োজন।
হাসপাতাল বেডে শয্যাসায়ি কবিরাজ হক-সমাজের দয়াবান জনপ্রতিনিধি,দানশীল-দয়ালু ব্যক্তিত্ব,ব্যাংক-বীমা,সংস্হা-প্রতিষ্ঠান ও রাজনীতিকসহ বিত্তশালী পরিবারবর্গের নিকট আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন। যথাযথ ও সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে সুস্হ্যতা ফিরে পাবার হক জন্য মানবিক আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন।
সরাসরি অর্থ পাঠাবার ঠিকানা- (হক)বিকাশ :০১৭৬৪-৯৫১-৪০১।