গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ মাছ ধরার পলো তৈরি করে বাজারে বিক্রি মাধ্যমে সংসার চালায় ওরা। পারিবারিক দৈন্য-দশা আর মোটা পূজির অভাবে অন্য পেশায় যুক্ত হতে পারেননি বলে জানান, চিত্তরঞ্জন, মানিক ও সতন তরণি। এ পেশা ছাড়াও তাদের আরও একটি পৈত্রিক পেশা আছে বলে জানান তারা। সেটি হলো গ্রাম বাংলার ঢাকি-কুলা, চালুন-চাই তৈরির কাজ। সেটিও তৈরি হয় বাঁশ দিয়েই। তাদের মতে বর্ষা মৌসুমে ঢাকি-কুলা আর চালুন খুব একটা বিক্রি হয়না। তাই তারা এই মৌসুমটাতে মাছ ধরার পলো তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এক একটি পলো বাজারে বিক্রি হয় ১২০-১৪০ টাকায়। এতে তাদের লাভ হয় পলো প্রতি ৪০-৫০ টাকা। যা দিয়ে তাদের ছেলে মেয়ের লেখা-পড়ার খরচসহ কোন রকমে সংসার চলে।
পলো তৈরি করতে প্রয়োজন হয় বাশ, সুতা আর হাতের নিপুন গাঁথুনি। একটি বাঁশ দিয়ে ৪ থেকে ৫টি পলো তৈরি করা যায়। প্রতিদিন এক জনে ৪ থেকে ৫টি করে পলো তৈরি করেন। এতে তাদের লাভ হয় ১৬০-২০০টাকা। এদিয়ে কোন রকমে লবণ ভর্তায় চলে তাদের সংসার।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের দারিয়াপুর অঞ্চলের বাসিন্দা মৃত নিত্যানন্দ তরণি দাসের পুত্র চিত্তরঞ্জন, মানিক ও সতন তরণি। মাতা জোসনা রানী।
তাদের দাবী সরকার যদি তাদের সহজ সর্তে ঋণদিয়ে সহযোগিতা করতো তাহলে তারা এই বাঁশ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে পারতেন।