
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা চলার পক্ষে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। মওদুদ আহমদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। খন্দকার মোশাররফের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আহমদ।
মওদুদ আহমদ: জরুরি অবস্থার সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই সম্পদ ও আয়ের বিবরণী চেয়ে মওদুদ আহমদকে নোটিশ দেয় দুদক। দুদকের নোটিশ অনুযায়ী মওদুদ আহমদ একই বছরে ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব দুদকে দাখিল করে। এর মধ্যে দুদক মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে।
মোশাররফ: জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১২ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলাটি করে। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলা বাতিলে মওদুদ আহমদ ও মোশাররফ হাইকোর্টে আবেদন করে মওদুদ আহমদ। হাইকোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে দিলে আপিল করেন মওদুদ ও মোশাররফ। আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২১ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।