এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ নদীতে নৌকা ভাসতে দেখলেই বানভাসিরা মনে করছেন ত্রাণ নিয়ে আসছে প্রশাসন। পানিতে ভিজে ত্রাণের জন্য ছুটে আসছে ওরা। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে পানি। ত্রাণ চায় বানভাসিরা। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ৪০ হাজার মানুষ। ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে দুই হাজার মানুষের মাঝে।

গত বুধবার রাত হতে উপজেলা তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, শান্তিরাম ও কাপাসিয়া উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর পানি না বেড়ে অপরিবর্তীত রয়েছে। পানি উঠেছে কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে। চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে-ফিরে দেখা গেছে বানভাসি মানুষের দুঃখ-কষ্ট। স্ত্রী পুত্র পরিজন নিয়ে বানভাসি পরিবারগুলো উঁচুস্থানে, আশ্রয় কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরিবাধে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। চরাঞ্চলের ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ডুবে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়েপড়েছে। নৌকা ছাড়া চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সংকটে পড়েছে বানভাসি পরিবারগুলো।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার এস.এম. গোলাম কিবরিয়া জানান- এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ২০ মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ টাকা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২০ মেট্রিক টন এবং দুই লাখ টাকা চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে তা বিতরণ করা হবে।