
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বগুড়ায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার নদীর পানি এখন বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত পরিবারগুলো খাদ্য বাসস্থান বিশুদ্ধ পানি ও পয়নিস্কাশনের অভাবে দুর্বিষহ অবস্থায় পড়েছে।
দুর্গত লোকজন জানিয়েছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা,কতুবপুর ও কামালপুর ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের পানিবন্দি মানুষ এখন নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ¦বর্তী বাঁধে ও উচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, বন্যার পানি প্রবেশ করায় ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাইস্কুল ও একটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, বানভাসীদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন এবং ধুনট উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।