গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ।
সূত্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং নদীটির ফুলছড়ির ঘাট পয়েন্টের ৫৫ সেমি পর্যন্ত পানি প্রবাহিত হয়। সুন্দরগঞ্জ, সদর ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নদী বেষ্টনীতে পানি সরবরাহ হচ্ছে।
বন্যার কারণে ফুলছড়ি উপজেলার ১৭ হাজার ৯২৫টি পরিবারে মোট ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্ধী। এর মধ্যে ৫১৮জন পরিবারে ১৭টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে গৃহপালিত পশু আশ্রয় নিয়েছে।

এছাড়াও অনেক মানুষ আশপাশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
বুধবার বিকেল ২টায় সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন কালে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে মোকাবেলা করার জন্য সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কারণে প্রশাসন থেকে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্যে বিষয়ে কোন চাপ নেই।
এ সময় জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল হালিম টলষ্টয়, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী ও সাংবাদিক এম শহিদুজ্জামান তার সফর ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সময় বিভাগীয় কমিশনারের সাথে ছিলেন।