গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ চরাঞ্চল বেষ্টিত ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে বন্যার পানি উঠায় পাঠদান বিঘিœত হচ্ছে।
এছাডাও নতুন করে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ১৩০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। ভাঙনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযাী, রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ফুলছড়ি তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি না পেলেও এখনও বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এরেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, কয়েকদিনের ভাঙনে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী, পশ্চিম জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, পাগলারচর এলাকায় নদী ভাঙনের কারণে ১৩০টি পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। হুমকির মূখে রয়েছে জিগাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ও জিগাবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক। তিনি বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এখনও সরকারি কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় নাই।
ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার হেমায়েত আলী শাহ্ জানান, ব্রহ্মপুত্র নদী বেষ্টিত ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব বিদ্যালয় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের কক্ষে পানি উঠায় ঝানঝাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গলনা কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কটকগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।