খবরবাড়ি ডেস্কঃ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকুরি প্রদান প্রতারক সিন্ডিকেট চক্রের হোতা ভূয়া ডিআইজি আতাউর রহমান ওরফে ডিআইজি আতিককে (৫৫) স্থানীয় জনতা হাতে-নাতে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে।
সদরের শিল্পী ভোজনালয় এন্ড আবাসিক-এর সামনে একটি মাইক্রো থেকে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টার দিকে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। এরপর প্রথমে তাকে সদরের গাইবান্ধা রোড মেনহাজ উদ্দিন সেন্টার প্রেস ক্লাব চত্বরে নেয়া হয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশের এস আই আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলে আসেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাকে থানায় নেয়।
এসময় মোটর শ্রমিক সভাপতি আব্দুস সোবাহান, শহিদুল ইসলাম ও মধু মিয়াসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। ভূয়া ডিআইজি আতিকের বাড়ী গাইবান্ধার কূপতলার চাপাদহ এলাকায় বলে সে জানায়। আতিক রাজধানী ঢাকার মিরপুর-২ এলাকার মুজিব মার্কেটের ৩ তলায় বাস করতেন।
আতিকের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রের বর্তমান নিজস্ব অফিস মিরপুর-১২ এলাকার ‘ডিএইচওএস’ ভবনের ৩ তলায়।
প্রতারক চক্রের হোতা আতিক ছাড়াও চাকুরির বিপরীতে ২৬ লাখ টাকা প্রদানকারী প্রতারনার শিকার কুড়িগ্রামের মুক্তার এবং ৩ লাখ টাকা প্রদানকারী ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল আউয়ালকেও থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ডিআইজি আতিক চক্রের ২ সদস্য সুযোগ বুঝে এ সময় পালিয়ে যায়।
মিরপুর এলাকায় ২০ হাজার টাকায় আতিকের একটি ভাড়া বাসায় রবিউল প্রাইভেট সিকিউরিটি’র চাকুরি বরতো। রবিউল জানায়, তার বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবীসহ অন্যান্য থানা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে।
প্রতারক আতিক চক্র ২/৩ মাস পর-পর তাদের অফিস পরিবর্তন করতেন। মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা থেকে ৯ হাজার টাকায় একটি ভাড়া মাইক্রোযোগে তারা গাইবান্ধার কূপতলায় আসছিলেন। জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ ভূয়া ডিআইজি আতিককে দেখতে এসে পুলিশে চাকুরী বাণিজ্যের বিষয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।