গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ছাত্রদলের উদ্যোগে বিভিন্ন শ্লোগানসহ একটি মিছিল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। অপরদিকে, খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শেখ ফরিদসহ সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কলেজ শাখার নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে অপর একটি মিছিল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এসময় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের উভয় মিছিল মুখোমুখি হওয়ায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ ঢিল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। কলেজ ছাত্রলীগের তোপের মুখে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রদল তাদের মিছিল নিয়ে পিছু হটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শর্টগানের ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত: ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের সদরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

উলে¬¬খ্য, গত ১৭ জুলাই পলাশবাড়ী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রদলের সম্মেলন আয়োজন উপলক্ষ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার কর্মসূচী পালনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। এরই প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রদলকে লিখিত অনুমতি না দিলেও মৌখিক অনুমতি প্রদান করেন বলে কলেজ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জানান।
এদিকে, উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক আব্দুল মোত্তালিব সরকার বকুল কলেজ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ২২ জুলাই উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল আহবান করেন।
অপরদিকে, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক মেহেদী আজাদ রাসেল, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাকিম সরকার বাবলা, খন্দকার ফরহাদ হোসেন এবং কলেজ শাখার ছাত্রলীগ নেতা মানিক, পলাশ ও রিপন এক জরুরী বৈঠকে ছাত্রদলের চলমান অপতৎপরতা কঠোর হস্তে দমনে ছাত্রলীগ সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।