খুলনায় পুলিশের বিরুদ্ধে শাহ জামাল নামে এক যুবকের দুই চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে, সে ছিনতাইকারী চক্ররে সদস্য এবং উত্তেজিত জনতা তার চোখ উপড়ে ফেলেছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় সুমা আক্তার নামে এক নারী উক্ত শাহ জামালকে আসামি করে খালিশপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শাহ জামালের স্বজনরা জানান, ৪/৫ দিন আগে স্ত্রীকে নেয়ার জন্য খুলনার খালিশপুরের গোয়ালখালি রেল বস্তি এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে আসনে পিরোজপুরের কাউখালির শাহ জামাল।
গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হলে ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাকে খালিশপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। স্ত্রী রাহেলা বেগমের অভিযোগ, রাতে স্বামীকে খালিশপুর থানায় স্বাভাবিক অবস্থায় দেখলেও বুধবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার দু’চোখ উপড়ানো অবস্থায় পান তারা।
শাহ জামালের স্ত্রী রাহেলা বেগম বলেন, আমি যখন থানায় দেখছি ও ভালো ছিলো ওর কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছিলো না। আমি ওই দারোগার বিচার চাই। কেনো আমার স্বামীর সাথে এরকম করলো। ও যদি অন্যায় করে থাকে তবে আইন ওরে শাস্তি দিবে।
শাহ জামালের মা রেনু বেগম বলেন, বউ আমার ছেলের সাথে দেখা করতে থানায় গেলে পুলিষ বলছে বিষ হাজার টাকা দিতে হবে। সেই টাকা বউ পুলিশকে দিছে। বউ রাত ১টা পর্যন্ত থানায় ছিলো। তখন পুলিশরা বলছে, আপনার স্বামীতো অসুস্থ; চিকিৎসা করাতে হবে। এই কথা বলে এই করে এইখানে তাকে ফেলে গেছে।
এদিকে পুলিশ জানায়, শাহ জামাল পেশায় একজন ছিনতাইকারী। নগরীর গোয়ালখালী বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় সুমা আক্তার নামে এক তরুণীর মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাইকালে তাকে হাতে নাতে ধরে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালিশপুর থানার ওসি মো: নাসিম খান বলেন, জনগণের কাছে মার খাওয়ার পর মারাত্মক জখম অবস্থায় আমরা তাকে পাই। প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার পর তাকে খুলনা আড়াইশো বেড হাসপাতালে ভর্তি করি।
শাহ জামালের বিরুদ্ধে পিরোজপুর, ডুমুরিয়া ও খুলনা থানায় ৭টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলশি।সূত্র- আরটিএনএন