গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খন্দকার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে আয়া লাকী বেগমকে (৩৫) পরকীয়ার সন্দেহে স্বামী কর্তৃক উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা। স্বামী আটক। থানায় মামলা দায়ের রয়েছে।
জানা গেছে উপজেলার কালকেডোবা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারে মেয়ে লাকী বেগমকে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার দুবলাগাড়ীহাট খোলা গ্রামের মোঃ আনছার আলীর ছেলে বাদল মিয়া (৪০) এর সহিত বিবাহ হয়। তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে লাকী বেগম প্রায় দীর্ঘদিন যাবৎ তার বাবার বাড়ীতে থাকে। তাদের সংসারের অভাব অনটনের কারণে প্রায় ১০ মাস হচ্ছে খন্দকার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে সামান্য বেতনে আয়ার চাকুরী করে আসছে।
গত রোববার সকাল ১০টার দিকে বাদল মিয়া খন্দকার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে এসে তার স্ত্রী লাকী বেগমকে ক্লিনিক একটি রুমের ভিতরে ডেকে নিয়ে ধাড়ালো চাকু দিয়ে মুখ মন্ডলের উপর ১২/১৪টি স্থানে গুরুত্বর যখম করে পালানোর চেষ্টা করে। লাকীর চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে স্বামী বাদলকে আটক সহ লাকীকে উদ্ধার করে গুরুত্বর অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে লাকীর পরিবার জানান তার স্বামী একজন মাদকাশক্ত, মাদকের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় তাকে চাকু দিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করেছে। অপর দিকে বাদল অভিযোগ করে বলেন তার স্ত্রী লাকী চাকরীর নামে ক্লিনিকের পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া করে আসছে। জেনে কোন স্বামী সয্য করে থাকতে পারে।
অন্যদিকে খন্দকার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের পরিচালক উপরোক্ত পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে।
এ ব্যপারে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১১ (খ) ধারায় গত ৩/৭/১৭ তারিখে ৬ নং মামলা হয়েছে। ধৃত আসামী বাদল মিয়াকে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।