আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের হিন্দু যোদ্ধা-যাজক দেশটির সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য শাসন করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে এবং ক্যাবল নিউজ চ্যানেলগুলো তার জন্য যথেষ্ট নয়। কথিত আছে যে, যোগী এতটাই সন্ন্যাসী ও এতটাই সৎ যে তিনি কখনো এয়ারকন্ডিশন ব্যবহার করেন না। মেঝেতে শক্ত গদিতে ঘুমান। কখনো কখনো ডিনার হিসেবে কেবল একটি আপেল খেয়ে থাকেন।
কিন্তু যোগি আদিত্যনাথের জনপ্রিয়তার মূলশিকড় হচ্ছে আরো অশুভ জায়গা। মন্দিরের নেতা হিসেবে তার হিন্দু জঙ্গি আধিপত্যবাদী ঐতিহ্য রয়েছে।
তার ভাষায় ‘মুসলমানদের ঐতিহাসিক ভুলের’ প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তিনি তরুণ হিন্দুদের নিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছেন। যে বাহিনীকে তিনি ‘দ্বিপদী প্রাণিদের একটি ফসল’ বলে অভিহিত করেছেন। এক র্যালিতে তিনি চিৎকার করে বলেছেন, ‘আমরা সবাই ধর্মীয় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি!’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক বিস্ময়কর পছন্দের লোক হচ্ছেন এই আদিত্যনাথ। ভারতের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে নতুন যুগে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর আগে মোদী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন। একই সঙ্গে তিনি যেকোনো ডানপন্থী হিন্দু কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু মোদীর উন্নয়নের এজেন্ডা ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ রূপে রূপান্তরের মধ্যই ডুবে গেছে। তিনি এর মাধ্যমে দেশটির ১৭০ মিলিয়ন মুসলমানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে সংকুচিত করছেন।
ভারতের রাজনীতিতে কিছু সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পদটি ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রীদের জন্য একটি স্প্রিংবোর্ড হিসেবে দেখা হয়। ৪৫ বছর বয়সী আদিত্যনাথ এমন একটি পদ অর্জন করতে যাচ্ছেন।