এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। গত দু’দিনে পানি কমেছে সাত হতে আট সেন্টিমিটার। পানিবন্দি পরিবারদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে উপজেলার শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।
শনিবার উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, দহবন্দ, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ি, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বানভাসি পরিবারদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং কমিটি, ট্যাক অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানগণ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রতিটি পরিবারকে দশ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান শান্তিরাম ইউনিয়নের নব ঘোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিতি ছিলেন ট্যাক অফিসার ও সহকারি মৎস্য অফিসার মজিবর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান ছামিউল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক এ মান্নান আকন্দ, ইউপি সচিব খায়রুজ্জামান প্রমূখ। এছাড়া বন্যার জন্য গঠিত মেডিকেল টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে পানি কমতে শুরু হওয়ায় শ্রীপুর, কাপাসিয়া, হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নে কাজিয়ার চর, কেরানির চর, বোচাগাড়ী, শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবু বাজার এবং হরিপুর ইউনিয়নের রাঘব ও চর চরিতাবাড়ি এলাকায় তীব্র ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে শতাধিক ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার এস.এম. গোলাম কিবরিয়া জানান, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৪০ মেট্রিক টন চাল এবং আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।