
নীলফামারীর ডিমলায় সীমান্তে তিস্তা নদীর উপর ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সেচ্ছাশ্রমে মাটির বাঁধটি নির্মান করেছে এলাকাবাসী। বর্ষার সময় বাঁধটি করতে পারায় তিস্তার উজানের ২০ হাজার পরিবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত থেকে রক্ষা পায়। বাঁধটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে প্রয়োজন জিও টেক্রটাইলসহ সিসি ব্লক দাবী করেছে এলাকাবাসী।
গত নভেম্বর মাসে তিস্তার উজানে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ৭হাজার ২শ ৬০ফিট দৈঘ্য ও প্রস্থ ৬০ ফিটের সেচ্ছাশ্রমে যৌথ বালুর বাঁধটি নির্মান করা হয়। বাঁধটি নির্মানের ফলে তিস্তার পাড়ের ২০ হাজার পরিবার বন্যার পানি থেকে রক্ষা পাবে। উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চড় খড়িবাড়ী গ্রামে চলতি বছরে বন্যায় ২০ হাজার পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বালুর বাঁধটিতে বর্ষা মৌসুমে জিও টেক্রটাইল ও সিসি ব্লক ছাড়া রক্ষা করা সম্ভব নয়।
এলাকাবাসীর সকলের আর্থিক সহযোগীতায় ও সেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মান করা হয়েছে। বাঁধটি নির্মানে এলাকার লোকজন বাঁশ, বালুর বস্তা ও সেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছে। বাঁধটি নির্মানে নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১লক্ষ টাকা প্রদান করেন। মাটির বাঁধটি রক্ষা করা গেলে নীলফামারীর টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী, পূর্বখড়িবাড়ী টাপুরচড়, বাংলাপাড়া, মেহেরপাড়া, একতার বাজার, ঝিঞ্জির পাড়া, বাবুপাড়া, লালমনিরহাটে হাতিবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গুড্ডিমারী ও বাউরা ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবার তিস্তার বন্যার পানি থেকে রক্ষা পাবে।
বাঁধটি নির্মানের মূল উদ্যেক্তা জানায়, এলাকার সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাঁধটি নির্মানের কাজ সম্পর্ন হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা পেলে বাধঁটি রক্ষা করা সম্ভব হবে।