
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীলফামারীর জলঢাকায় এক জামায়াত নেতার নির্দেশেই এক আওয়ামীলীগ সক্রিয় কর্মীর হাত ভেঙ্গে দিয়েছে তার লোকেরা।
জামায়াত নেতার অমানবিক নিষ্ঠুরতার স্বীকার ঐ দরিদ্র পরিবারটি এ ঘটনার ১৫ দিন পরে আহত ওই আওয়ামীলীগ কর্মীর উন্নত চিকিৎসা ফিরলে তার স্ত্রী লায়লা বানু বাদী হয়ে জামায়াত নেতা জহির উদ্দিন (জামাতি) সহ ৬ জনের বিরুেদ্ধ মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের সাবেক জামায়াতের রোকন জহির উদ্দিন তার বাড়ীর পাশে নিচু জমিতে মাছ ধরার জন্য কারেন্ট ফাস জাল দিয়ে রাখলে ঘটনার দিন সকালে পাশ্ববর্তী মামলার বাদী লায়লা বানুর দেবরের ৫ বছরের ছেলে জাল থেকে একটি পুঁটিমাছ বের করে। এ সময় জাল ছিরে ফেলার অভিযোগ এনে শিশুটিকে মারধর করেন অভিযুক্তরা।
এঘটনার জের ধরে পরদিন ৯ জুলাই শিশুটির চাচা আ”লীগ কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা তার কর্মস্থল জলঢাকায় বাইসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে জামায়াত নেতা জহিরের নির্দেশে তার ৪ ছেলে হারুন, মামুন, মাজেদুল ও মাহবুব সহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়ি তাকে মারধর করে। এসময় মোস্তফার ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জামায়াত নেতা জহিরের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি এ,বি,এম, নুরুজ্জামান আবু বলেন, আহত আমাদের ওই কর্মী ন্যায্য বিচার পাবে এটাই আশা করি।
জলঢাকা থানা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে অভিযোগটি নথিভূক্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আসামী ধরার ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।