গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। এই সরকার অনেক প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করে প্রশংসিত হয়েছে। এসব চাকরিজীবি পরিবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন স্মরণ করবে। আমরা আমাদের ৩২,৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবীতে দেশের ৩২৭টি পৌরসভায় ন্যায্য দাবী আদায়ে নিরলসভাবে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন মনে করে, আন্দোলন নয় বা সরকারকে বিপাকে ফেলতে নয় ন্যায্য দাবী আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ৩২,৫০০ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবী মেনে নিবে। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার কর্মচারীদের অভূক্ত রেখে স্থানীয় সরকার কে শক্তিশালী করা প্রায় অসম্ভব।
পৌর কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবী আদায়ের অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন আয়োজিত কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী। এতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারি বলেন,‘ দাবী আদায়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল মত পার্থক্য ভুলে সবার স্বার্থে একযোগে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ পালন করতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক ও বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন শাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক বিপুল কুমার সাহা।
সূচনা সরকারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি নুরুল ইসলাম নুুুরু, সহ-সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী রিন্টু, সম্পাদক নূর হোসেন, গোবিন্দগঞ্জ পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি আশরাফুল আলম, সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কবীর মিঠু, রংপুর বিভাগীয় কমিটির সদস্য নাদিম আলম প্রমূখ।