এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্বাঞ্চলবাসির একমাত্র চলাচলের মাধ্যম হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ-পাঁচপীর সড়কটি। সড়কটি পাকা করণের দীর্ঘ ১০ বছর পরেও সংস্কার ও মেরামত করা হয়নি আজও। যার কারণে পিচ, সুরকি, বালু, খোয়া উঠে গিয়ে অসংখ্য খানা-খন্দে ভরপুর হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারি ও যানবাহন সমূহ।
উপজেলার বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি গ্রামের সাধারণ মানুষজন প্রতিদিন ওই সড়কটি দিয়ে উপজেলার শহরে যাওয়া আসা করে। উপজেলা শহর হতে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রিক্সা,ভ্যান, অটোবাইক, বাইসাইকেল, ট্রলি, ঘোড়ারগাড়িসহ অসংখ্য যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কটি খানা-খন্দে ভরপুর হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট-খাট সড়ক দুর্ঘটনা। এছাড়া সড়কটি দু’ধারে তিস্তা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া বসতভিটা হারানো পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে। এ কারণে সড়কটির প্রস্থ অনেক কমে গেছে। একটি অটো ভ্যান অপরটিকে সাইড দিতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
বেলকা ইউনিয়নের একজন পথচারি একরামুল হক লাল মিয়া জানান- সড়কটির বর্তমানে বেহাল দশা। গাড়ি-ঘোড়ায় চরে অত্যন্ত কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশাপাশি যাতায়াত ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। সড়কটিতে চলাচল বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে পারছেনা সড়কটির বেহাল দশার কারণে। অধিক ভাড়া দিয়ে উপজেলা শহর হতে ব্যবসা-বানিজ্যের মালামাল ক্রয় করে নিয়ে গিয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়িদেরকে।
অটোবাইক চালক আন্জু মিয়া জানান-সড়কটি অসংখ্য খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় এক ঘন্টার রাস্তা যেতে সময় লাগে দুই ঘন্টা। পাশাপাশি খানা-খন্দে গাড়ি পড়ে গিয়ে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে। সময় বেশি লাগার কারণে যাত্রীদের নিকট থেকে ভাড়া একটু বেশি নেয়া হচ্ছে।
বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ জানান- সড়কটি পূর্ণ মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। আরএমপি’র নারি শ্রমিকদের দ্বারা প্রতিনিয়ত সড়কটিতে মাটি দিয়ে ক্ষণিকে জন্য মেরামত করে দেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানান- সড়কটির অনেকটাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধিন। যার কারণে সংস্কার ও পূর্ণ মেরামতের বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই মেরামত করা হবে।