
সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের(এমসিসি) দ্বিতীয় আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বসুন্ধরা ঢাকা বিভাগকে হারিয়ে ফাইনালে একমি রাজশাহীর সঙ্গী হয়েছে এক্সপো অল স্টার্স মাস্টার্স।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মুল মাঠে আজ দিনের দ্বিতীয় সেমফিাইনালে ঢাকাকে ১৬ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করে হাসিবুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন অল স্টার্স।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে অল স্টার্স। এ ম্যাচেও সেরার পুরস্কার পাওয়া এহসানুল হক সেজান ৪০ বল মোকাবেলা করে চারটি চার ও পাঁচটি ছাক্কায় ৬৪ রান করে আহত অবসর নেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় সবর্ােচ্চ ১৩ রান আসে মোরশেদ আলী খান সুমনের ব্যাট থেকে। শাফকাত আল জুবায়ের তিন ওভার বোলিং করে ১৮ রানে তিন উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য ১১৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই সব উইকেট হারিয়ে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঢাকা।
অধিনায়ক সানোয়া হোসেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন। এ ছাড়া হুমায়ুন কবির ১৮ ও মোহাম্মদ রফিক করেন ১৭ রান।
তালহা জুবায়ের তিন ওভার বোলিং করে ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট।
এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন রাজশাহী তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ৩ রানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন টাইটান্স খুলনা মাস্টার্সকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
একই মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসের বিপরীতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান করে একমি রাজশাহী। অধিনায়ক পাইলট ২৬ বল মোকাবেলায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করে আহত অবসর নেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন আলমগীর কবির। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান আসে রাশেদুজ্জামানের ব্যাট থেকে। আলমগীর ও রাশেদ উভয়েই নিয়াজ মোর্শেদ পল্টুর শিকারে পরিণত হন। এছাড়া শফিউদ্দিন বাবুও শিকার করেন ২ উইকেট।
জয়ের জন্য ৯৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৮৯ করতে সক্ষম হয় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুমনের দল। পল্টু ১৪ এবং সুমন, হাসানুজ্জামান ও সঞ্জয় চক্রবর্তী তিন জনেই ১২ করে রান করেন।
ব্যাট হাতে ১৭ এবং বল হাতে তিন ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন রাজশাহীর আলমগীর কবির। সুত্র:বাসস