গাইবান্ধা প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় আত্মসমর্পন করা রাশেদুন নবীর বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উদাখালি গ্রামে। তার পুরো নাম রাশেদুন নবী ওরফে রাশেদ (২১)। রাশেদুন নবী ওরফে রাশেদ উদাখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে। ২০১৪ সালে একই উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জমিলা আক্তার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। পরে তিনি প্যাথলজি বিষয়ে বগুড়া সাইক ইনষ্টিটিউট অফ মেডিকেল টেনোলজিতে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি চতুর্থ সেমিষ্টারের ছাত্র।
রাশেদুন নবীর বাবা রেজাউল করিম সোমবার বিকেলে জানান, আমার ছেলে রাশেদুন নবী বগুড়ার একটি মেসে থেকে পড়ালেখা করত। গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখের দিকে সে বাড়ি আসে। বাড়িতে কয়েকদিন থাকার পর গত ১ মে আমার কাছে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে বগুড়া যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরদিন তার কলেজ থেকে ফোন আসে আপনার ছেলে পরীক্ষায় অনুপস্থিত। ওইদিনই আমি বগুড়া গিয়ে প্রথমে কলেজে ও পরে তার মেসে খোঁজ নিই। তার মেসের মালিক আমাকে জানায়, দুইজন অপরিচিত ছেলে আপনার ছেলের সঙ্গে কদিন ধরে মেসে থাকতো। আমি বাধা দেওয়ায় তারা অন্য মেসে চলে যায়। এরপর কিছু জানি না বলে ওই মেস মালিক আমাকে জানিয়ে দেন।
রেজাউল করিম আরও বলেন, তখন থেকে থানা পুলিশসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুজির পর ছেলের সন্ধান পাইনি। পরে ২২ মে বগুড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। রোববার ফেসবুকের মারফত জানতে পারি আমার ছেলে আত্মসমর্পন করেছে। তার মা রিনা বেগম নিজের ভাষায় বলেন, হামার ছোলটে ভালো আচিলো। কোনদিন অন্যায় করে নাই। এদিকে রাশেদুন নবী জঙ্গী হিসেবে আত্মসমর্পন করায় তার বাবা মা বিস্মিত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে দক্ষিণ উদাখালি গ্রামবাসি জানায়, আগে রাশেদুন নবীর চলাফেরায় কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এমনকি এলাকায় কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে সে জড়িত ছিল না। রাশেদুন নবীর বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বিকেলে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান মঠোফোনে বলেন, রাশেদুন নবীর নামে থানায় কোনো মামলা নেই।
গত রোববার ঢাকার আশুলিয়ার চৌরাপাড়া গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ১১ ঘন্টা ঘিরে রাখার পর র্যাবের কাছে চারজন জঙ্গি আত্মসমর্পন করে। তারা জঙ্গি সংগঠন জেএমবির তামিম-সারোয়ার গ্রুপের সদস্য।