
আসন্ন অর্থবছরের বাজেটকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। ২৬ জুন সোমবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানেও উঠে এসেছে সাধারণ মানুষের ওপর বাজেটের প্রভাব প্রসঙ্গ। বাদ যায়নি সংসদের বিরোধী দল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিও। তবে এবার দলটির শীর্ষ দুই নেতার কাছ থেকে বাজেট নিয়ে হতাশায় দলের চেয়ারম্যান এরশাদ ও আশায় আছেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
২৬ মে সোমবার ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় পরিষ্কার হয়ে উঠে এই দৃশ্য।
সে সময় ঈদুল ফিতরে দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এরশাদ। অন্যদিকে, চূড়ান্ত বাজেট ঘোষণার পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রওশন এরশাদ।
অনুষ্ঠানে হতাশা প্রকাশ করে এরশাদ বলেন, ‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। এই ঈদ দেশের জনগণের জন্য উন্নতি, সমৃদ্ধির বার্তা বয়ে আনুক এই কামনা করি। একটি বিষয় হচ্ছে, ঈদে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়েছে।’
অন্যদিকে, আশা প্রকাশ করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের সকল মুসলমানকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই, ঈদ মোবারক। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। আশা করি, বাজেটের পর পরিস্থিতি সুন্দর পর্যায়ে আসবে।’
২০১৯ সালের নির্বাচন সামনে রেখে ঈদের পর থেকে কাজ শুরু হবে জানিয়ে এরশাদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ঈদের পর আমাদের দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। আমরা জেলায় জেলায় যাব, বিভাগীয় শহরে যাব। আগামী নির্বাচনে আমাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনে প্রার্থিতা দেওয়া। ঈদের পর নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী ও দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা উপস্থিত ছিলেন।